রিসার্চ ফিল্ডে বহুল ব্যবহৃত শব্দগুলোর পরিচয়-আকাশ হোসেন রায়হান
A Brief Introduction: Terms Used in Research Field
১। সাইটেশন কী?
২। রেফারেন্স কী?
৩। সাইটেশন সংখ্যা
৪। সাইটেশন পদ্ধতি
৫। ভ্যাঙ্কুভার সাইটেশন এবং রেফারেন্সিং সিস্টেম
৬। ইন-টেক্সট সাইটেশন
৭। Footnote & Endnote
৮। হার্ভাড/প্যারেন্টিক্যাল সাইটেশন
৯। প্রাইমারি সোর্স ও সেকেন্ডারি সোর্স
১০। Quote করা ও Paraphrasing (প্যারাফ্রেজিং)
১১। অপর লেখকের বক্তব্য নেওয়ার সময় সাইটেশন করতে হয় কীভাবে?
১২। সাইটেশন ও রেফারেন্স সোর্স হিসেবে
কী কী উৎস ব্যবহার করা যায়?
১৩। পূর্ণাঙ্গ রেফারেন্সিং
১৪। বাংলাদেশের সাইটেশন বস
১৫। বেশি সাইটেশন মানেই কি বেশি ভালো গবেষক বা গবেষণাপত্র?
——————————————————————
১। সাইটেশন (Citation):
সাইটেশন হচ্ছে আপনি আপনার লেখায় যে তথ্য দিলেন সে তথ্যাটা কোথা থেকে পেলেন, সেই তথ্যসূত্রটা উল্লেখ করা দেওয়ার পদ্ধতির নাম।
আর এই কাজটাকে বলে সাইট করা।
সাইট করার মাধ্যমে আপনি আপনার লেখাটির তথ্যসূত্র আপনার পাঠকের কাছে অবগত করতে পারেন, যা আপনার লেখাটাকে ও তথ্যগুলোকে মানসম্মত করতে সহায়ক। এতে পাঠক আপনার লেখায় থাকা তথ্যের বা লেখার গভীরতা বা কোয়ালিটি ধরতে পারেন, তাতে উল্লিখিত সোর্স দেখে।
এটা হচ্ছে আপনি আপনার লেখায় অপর কোনো উৎস থেকে যে তথ্যসূত্র ব্যবহার করেছেন সেই তথ্যসূত্রের সংক্ষিপ্ত, alphanumeric প্রকাশ যা লেখকের লেখার মাঝেই হাইপারলিংক করে বা সাধারণভাবে তথ্যসূত্র তুলে ধরা হয়।[1]
এর ফলে পাঠক কখনো আপনার লেখার মান বা উপস্থাপিত তথ্য নিয়ে তার মনে সন্দেহ বা সংশয় জাগ্রত হলে সে সহজেই আপনার সাইট করা তথ্যসূত্র থেকে মূল লেখা থেকে তথ্যটি খুঁজে নিতে পারে।
এছাড়া কারো কষ্টকর গবেষণালব্ধ তথ্যকে আপনি আপনার লেখায় ব্যবহার করে আপনার লেখাকে সমৃদ্ধ করছেন আর যার তথ্যকে ব্যবহার করলেন তাকে সম্মান দেবেন না বা তার ক্রেডিট জানাবেন না, তা কি উচিত?
সাইট করার দ্বারা তাকে সম্মান জানানো বা তার ক্রেডিট স্বীকার করে নেওয়ার কাজটাই সাধিত হয়। এতে লেখা বা তথ্য চুরি করার বদনাম থেকেই বাঁচা যায়।[2]
তবে সাইট করার মূল উদ্দেশ্য কেবল কাউকে ক্রেডিট দেওয়া নয়, এর আরও উদ্দেশ্য আছে।
যেমন সাইট করলে আপনার লেখার গ্রহণযোগ্যতা ও নির্ভরতা বাড়ে।
সাইট করার ফলে পাঠক আপনার লেখায় ব্যবহৃত তথ্যটার পূর্বতন সোর্স খুঁজে পায়; ফলে মূল তথ্যটাকে আরও গভীরভাবে জানতে পারে।
২। রেফারেন্স:
রেফারেন্স হচ্ছে আপনার তথ্যসূত্রগুলোর একটা লিস্ট যা সাধারণত পাদটীকা বা ফুটনোট আকারে পৃষ্ঠার শেষে বা প্রান্তটীকা বা এন্ডনোট আকারে আর্টিকেলের শেষে দেওয়া থাকে।
অপরদিকে সাইটেশন হচ্ছে আপনি আপনার লেখার মাঝে/পাশেই ব্র্যাকেটে বা সুপারস্ক্রিপ্ট করে যে তথ্যসূত্র তাৎক্ষণিকভাবে সংযুক্ত করে দিলেন সেটা।
সাইটেশনে ব্যবহৃত তথ্যসূত্রগুলোই রেফারেন্স লিস্ট আকারে আর্টিকেলের শেষে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়।
আর ফুটনোট রেফারেন্সিং পদ্ধতির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত তথ্য বা তথ্যসূত্র পৃষ্ঠার নিচের দিকে দেওয়া থাকে, যেটাও এক প্রকার রেফারেন্সিং। তবে ফুটনোটে কেবল রেফারেন্স নয় টীকাও থাকে।
সাইটেশন হতে পারে কারো উদ্ধৃতির সরাসরি বর্ণনা বা কারো তথ্য হালকা edit করে, মূল অর্থ ঠিক রেখে তার কথাটাই নিজ ভাষায় জানানো বা প্যারাফ্রেজিং করা যাকে বলে।
রেফারেন্স হলো সাইটেশন-এর বিস্তারিত রূপ যা রেফারেন্স লিস্টে সাজানো থাকে।
সাধারণত যখন কোনো তথ্য কারো থেকে উদ্ধৃত করে দেওয়া হয় বা কারো তথ্য ব্যবহার করা হয় তখন সেই লেখার পাশেই ব্র্যাকেটে ওই মূল তথ্যদাতার নাম, পরিচয়, সাল সংক্ষেপে দেওয়া হয় বা সুপারস্ক্রিপ্ট করে তথ্যসূত্রের নাম্বার দেওয়া হয় বা সুপারস্ক্রিপ্ট করার পাশাপাশি তাতে তথ্যসূত্র হাইপারলিংক করে দেওয়া হয়।
আর এসব তথ্যসূত্রই ফুটনোটে বা আর্টিকেল শেষে এন্ডনোটে লিস্ট আকারে প্রদর্শিত থাকে যা রেফারেন্স লিস্ট/রেফারেন্সেস নামে পরিচিত।[3]
অনেক সময় সুপারস্ক্রিপ্ট করার সময় হাইপারলিংক যুক্ত করা হয় না, কেবল তথ্যসূত্র নং সূচিত করা হয়, যা রেফারেন্স লিস্টে উল্লেখ করা থাকে পূর্ণ রূপে। এভাবে কেবল তথ্যসূত্র নং উল্লেখ করাও এক প্রকার সাইটেশন।
রেফারেন্সেস হচ্ছে এমন কিছু তথ্যসূত্রের তালিকা যা থেকে আপনি আপনার লেখার তথ্যগুলো লাভ করেছেন, আর সাইটেশন হলো সেই সকল তথ্যসূত্র যা আপনি আপনার লেখার মাঝে বা লেখার পাশেই কিছু নিয়ম মেনে সংক্ষেপে উল্লেখ করে দিয়েছেন।
এই নিয়মগুলো একেক প্রকার সাইটেশন স্টাইলে একেকরকম, আবার রেফারেন্স করারও একাধিক পদ্ধতি আছে যা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও লেখার ধরন ভেদে বদলায়।[4]
রেফারেন্স ও সাইটেশন–এ দুটো প্রক্রিয়া তথ্যসূত্র রেফারেন্সিং সিস্টেমেরই দুটি অংশ।
৩। সাইটেশন সংখ্যা:
বিজ্ঞান গবেষণায় বা যে-কোনো গবেষণায় আপনার লেখা কে কতবার তার অন্য কোনো লেখায় ব্যবহার করল বা সাইট করল তা হিসাব রাখা হয় এবং কতবার আপনার লেখা অপর কোনো ব্যক্তি বা গবেষক বা প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করল সেসব গণনা করে ওই লেখার মোট সাইটেশন সংখ্যা হিসাব করা হয়। এভাবে যত সাইটেশন সংখ্যা বাড়ে তত আপনার লেখার গ্রহণযোগ্যতা বা ভ্যালু বাড়ে। সাইটেশন সংখ্যা দিয়ে মানুষ আপনার লেখা অপরের কাছে কতটা গ্রহনযোগ্য বা বিশ্বস্ত সেটার একটা ধারণা করে ফেলতে পারে। এটার ওপরই নির্ধারণ করা হয় কোনো জার্নালের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর।
৪। সাইটেশন পদ্ধতি:
সাইটেশন করার বিভিন্ন পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে প্রচলিত রয়েছে।
তবে এর মাঝে প্রধান দুটি হলো:
১। হার্ভাড পদ্ধতি বা Parenthetical Citation
২। ভ্যাঙ্কুভার পদ্ধতি বা Numerical Citation
এ দুটে হলো সাইটেশন সিস্টেম। তবে এই সিস্টেম দুটোর পাশাপাশি আরওঅনেকগুলো সাইটেশন স্টাইল আছে।
সাইটেশন পদ্ধতি একেক ক্ষেত্রে একেকরকম। তবে এক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিয়ে তৈরিকৃত কিছু স্ট্যান্ডার্ড আছে। যেমন:
1• American Psychological Association (APA) style of referencing
2• Modern Language Association of America (MLA) style of referencing
3• Modern Humanities Research Association (MHRA) style
4• The Chicago (reference list) style (Turabian)
5• Council of Science Editors (CSE)
যেমন–ভ্যাঙ্কুভার সাইটেশন এবং রেফারেন্সিং সিস্টেম→
এটি author–number system নামেও পরিচিত।
৫। ভ্যাঙ্কুভার সাইটেশন এবং রেফারেন্সিং সিস্টেম:
তথ্যসূত্রগুলো লেখকের লেখার পাশেই
- ফার্স্ট ব্র্যাকেট বা,
- থার্ড ব্র্যাকেট বা,
- সুপারস্ক্রিপ্ট বা,
- ব্র্যাকেট-সুপারস্ক্রিপ্টের মিশ্রণ দিয়ে
এবং তাতে একটা ক্রমিক নাম্বার দিয়ে সূচিত হয়।
যেমন: ১ম উপায়–
Modern science is typically divided into three major branches.(1)
বা,
২য় উপায়:
Modern science is typically divided into three major branches.[1]
বা,
৩য় উপায়:
Modern science is typically divided into three major branches.1
বা,
৪র্থ উপায়:
Modern science is typically divided into three major branches.[6]
একটি লেখা তৈরি করতে গিয়ে আপনি কতটা খেটেছেন, কত কত বইপত্র পড়েছেন বা কত শত তথ্যসূত্র বা রিসার্চপেপার ঘেটেছেন সেসব জানানোর এক উত্তম মাধ্যম হলো এই রেফারেন্সিং।
কেবল লেখার শেষে নিজের মনমতো উপায়ে তথ্যসূত্র উল্লেখ করে দেওয়াই রেফারেন্সিং নয়, রেফারেন্সিং করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ও স্টাইল আছে যা একেক টাইপ লেখা বা একেক প্রকার সংস্থার কাছে একেকরকম।
একাডেমিক জগতে তিনটি পদ্ধতিতে রেফারেন্সিং প্রচলিত রয়েছে–ফুটনোট, এন্ডনোট এবং ইন-টেক্সট সাইটেশন।
৬। ইন-টেক্সট সাইটেশন:
এই যে আমরা দেখি লেখার মাঝেই যে তথ্যসূত্র সংক্ষেপে ব্র্যাকেটে বা সুপারস্ক্রিপ্ট করে সূচিত করে দেওয়া হয় সেটাই ইন-টেক্সট-সাইটেশন।
সাইটেশন হলো রেফারেন্সিং প্রক্রিয়ারই একটা অংশ।
৭। Foot-note & End-note:
ফুটনোট আমরা সবাই-ই চিনি মোটামুটি। প্রায়শই বিভিন্ন বই বা আর্টিকেল পড়তে গিয়ে আমরা এটা দেখে থাকি।
গবেষণাপত্র বা বইয়ের পাতার নিচে যে টীকা দেওয়া থাকে, তাকে ফুটনোট বা পাদটীকা বলে।
এক্ষেত্রে লেখার যেখানে অন্য কারো তথ্যসূত্র উল্লেখ করা হয়েছে বা বিশেষ কোনো বিষয় অবহিত করা প্রয়োজন সেই স্থানে এক বা একাধিক সুপারস্ক্রিপ্ট বা ক্ষুদ্র অক্ষর লেখার ঠিক ওপরে একটি নাম্বার দিয়ে বসানো হয়।
পৃষ্ঠার নিচে একটি সরল রেখা টেনে তার নিচে সে নাম্বার অনুসারে মূল রেফারেন্স বা বিশেষ তথ্য বা টীকাটি লেখা হয়। একটি পৃষ্ঠায় যতগুলো রেফারেন্স নাম্বার বসানো হয় তার প্রত্যেকটিই নিচে রেফারেন্স করতে হয়।
এন্ডনোট বা প্রান্তটীকা রেফারেন্সিংও প্রায় অনেকটা ফুটনোট রেফারেন্সিং এর মতোই, তবে এক্ষেত্রে নাম্বার অনুসারে রেফারেন্সগুলোর লিস্ট অধ্যায়ের শেষে উল্লেখ করা হয়–যেমন উইকিপিডিয়াতে আমরা দেখে থাকি।
উইকিপিডিয়াতে ইন-টেক্সট-সাইটেশন ও এন্ডনোট দুটোই থাকে তবে ফুটনোট সচরাচর দেখা যায় না।[7]
৮। হার্ভাড/প্যারেন্টিক্যাল সাইটেশন:
ইন-টেক্সট সাইটেশনের ক্ষেত্রে লেখার মূল অংশে রেফারেন্সের জন্য ব্র্যাকেটের ভেতর লেখকের নামের শেষাংশ, বই বা আর্টিকেল প্রকাশনার সাল এবং পৃষ্ঠা নং ইত্যাদি উল্লেখ করা হয়ে থাকে। আর্টিকেলের বা পেপারের একদম শেষে সংখ্যা বা বর্ণানুক্রমিক অর্ডারে মূল রেফারেন্সগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে দিতে হয়। এ পদ্ধতিটিকে প্যারেন্থেটিক্যাল বা বন্ধনীসমন্বিত সাইটেশনও বলা হয়ে থাকে, যার আরেক নাম হার্ভাড রেফারেন্সিং।[8]
আরেকটা বিষয়, সকল তথ্যই সাইট করতে হয় না।
কিছু তথ্য আছে যেগুলো আমরা সেই অনেক আগে থেকেই সত্য হিসেবে জেনে আসছি ও বহুল প্রচলিত, এক্ষেত্রে সেসব তথ্য সাইটেশনের বাধ্যবাধকতা নেই। তাছাড়া কমন নলেজ, নিজের সাধারণ মন্তব্য বা জ্ঞানগর্ভ মন্তব্য যা কিনা গবেষণাপত্রে প্রকাশ পায়নি সেটাও সাইট করা যাবে না।[9]
৯। প্রাইমারি সোর্স ও সেকেন্ডারি সোর্স:
এখন বক্তব্যের উৎস সাধারণত দুই রকমের হয়।
কোনো বক্তব্য যদি সরাসরি কোনো লেখকের বা গবেষকের গবেষণা, বই বা কোনো প্রকাশনা থেকে নেওয়া হয় তবে সেই তথ্যসূত্রকে বলে প্রাইমারি সোর্স।
আর যদি কারো বক্তব্য তার বই বা গবেষণাপত্র, সোর্স থেকে না নিয়ে অপর কোনো লেখকের বই থেকে নেওয়া হয় তবে সেই অপর লেখক বা সোর্সকে সেকেন্ডারি সোর্সিং বলে।[10]
১০। Quote করা ও প্যারাফ্রেজিং:
আপনি অন্য কোনো লেখকের বক্তব্যকে দুইভাবে নিজের লেখার ভেতর আনতে পারবেন।
১. Quote করে,
২.প্যারাফ্রেজিং করে।
কোট করে লেখা মানে আমরা ইংরেজি গ্রামারের ন্যারেশন শিখতে গিয়ে Direct Narration-এ যেভাবে অপর লেখকের বক্তব্যকে হুবহু লিখতে দেখেছি সেভাবে কারো তথ্য বা কথা কোটেশন মার্কের মাঝে আবদ্ধ করা।
আর প্যারাফ্রেজিং মানে হচ্ছে অপর লেখকের বক্তব্যের মূল অর্থ অপরিবর্তিত রেখে নিজের মতো করে লেখা।[11]
আপনি যদি কোট না করে অথবা প্যারাফ্রেজিং না করে বা কোনোভাবে তথ্যসূত্র উল্লেখ না করে অপরের তথ্য ব্যবহার করেন তবে সেটা কুম্ভিলকবৃত্তি বা লেখাচুরি হয়ে যাবে।
তাই লেখকের বা গবেষকের বক্তব্যটুকু উল্লেখ করার পর সাইড নোটে বা ফুটনোটে অথবা বইয়ের শেষে তথ্যসূত্র উল্লেখ করতেই হবে।
১১। অপর লেখকের বক্তব্য নেয়ার সময় সাইটেশন করতে হয় কীভাবে?
এটা একেক প্রকার সাইটেশনে একেকভাবে সাজিয়ে করা হয়। তবে কিছু বিষয় সবক্ষেত্রেই কমন। যেমন–
১। যে লেখক থেকে তথ্য নিয়েছেন সেই লেখকের নাম সংক্ষেপে উল্লেখ করতে হবে।
২। সেই লেখকের কোন বই/প্রকাশনা থেকে নেওয়া হয়েছে সেটা উল্লেখ করতে হবে।
৩। সেই বই কবে মুদ্রিত হয়েছে তার সময়কাল, প্রকাশনীর নাম ও ঠিকানা ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে।
৪। যে যে লেখা থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে তার কত নং বা কত নং থেকে কত নং পৃষ্ঠা, খণ্ড, পরিচ্ছেদ থেকে নেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করতে হবে।
৫। বিশেষ ক্ষেত্রে গবেষণা বা তথ্যসূত্রের ওয়েব লিংক বা ইউনিক আইডেন্টিফায়ারস যেমন:
- International Standard Book Number (ISBN),
- Serial Item and Contribution Identifier (SICI) বা,
- International Standard Serial Number (ISSN),
- Digital Object Identifier (DOI),
- Biomedical research articles এর ক্ষেত্রে যেমন PubMed Identifier (PMID) ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে।[1]
সাইটেশন করার ওপরের নীতিমালাগুলো সাইন্স ফিল্ডে স্ট্রিকলি মেনে চলতে হয় নতুবা সেই তথ্যের বা লেখকের ভ্যালু কম থাকে।
অথবা তা প্লেইজারিজমের অভিযোগে দুষ্ট হতে পারে।
প্লেইজারিজম নিয়ে বিস্তারিত পর্ব সামনে আসবে।
১২। সাইটেশন ও রেফারেন্স সোর্স হিসেবে
কী কী উৎস ব্যবহার করা যায়?
রেফারেন্স হিসেবে বিভিন্ন বই, গবেষণাপত্র, ম্যাগাজিন, জার্নাল, সংবাদপত্র, ইন্টারভিউ, ওয়েবসাইট, ব্লগ, জ্ঞানমূলক ভিডিয়ো, ইমেইজ, পরিসংখ্যান, গ্রাফ, নাটক-নাটিকা, সাহিত্য, কবিতা, বিশেষ উক্তি ইত্যাদি থেকে তথ্য সংগ্রহ করা যায় ও সাইট করা যায়।[1]
তবে বিজ্ঞান গবেষণায় সাইটেশনের ক্ষেত্রে অপরের গবেষণাপত্র ও বই, জার্নালকে মূলত বেশি সাইট করতে দেখা যায় এবং শেষের চার-পাঁচটি বিষয়ের অনুপস্থিতি দেখা যায়।
১৩। পূর্ণাঙ্গ রেফারেন্সিং::
রেফারেন্স করার জন্যও আলাদা আলাদা ও সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।
রেফারেন্স লিস্ট লেখার সময় প্রত্যেকটা রেফারেন্স লেখার ক্ষেত্রে লেখকের নামের প্রথম অংশ না কি শেষ অংশ কোনটুকু বা কতটুকু প্রথমে বসবে, প্রকাশনা সাল কোথায় বসবে, বইয়ের নাম উদ্ধৃতি চিহ্নের ভেতর থাকবে না কি বাইরে থাকবে, বোল্ড করে থাকবে না কি ইটালিক তথা বাঁকা অক্ষরে লেখা থাকবে ইত্যাদি বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে লিখতে হয়।
ফুলস্টপ, কমা, কোলন, ব্র্যাকেট ইত্যাদি চিহ্নের ব্যবহারও সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়।
এ নিয়মগুলোর জন্য বিভিন্ন রেফারেন্সিং স্টাইল রয়েছে, যার মধ্যে MLA, APA, Chicago, CSE ইত্যাদি স্টাইল বহুল ব্যবহৃত। Education, Psychology, and Science ফিল্ডে APA (American Psychological Association) স্টাইল বহুল ব্যবহৃত।[16]
এছাড়া ভ্যাঙ্কুভার সিস্টেমও ব্যবহৃত হয়।
এছাড়া খেয়াল রাখতে হবে যেন একটি লেখার জন্য নির্দিষ্ট একটি স্টাইলই ব্যবহার করা হয়।
ফুটনোট, এন্ডনোট এবং ইন-টেক্সট সাইটেশন পদ্ধতিগুলো থেকেও যে-কোনো একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিই অনুসরণ করতে হবে।
এখন কোন রেফারেন্সিং পদ্ধতি কীভাবে দিতে হয় সেটা অনেক বড়ো আলোচনা। তাই এই আর্টিকেলে এই আলোচনা স্কিপ করেছি।
তবে বিশেষ আগ্রহ থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন।
সবচেয়ে বেশি সাইটেশন পাওয়া লেখা :
1951 সালে J. Biol. Chem-তে প্রকাশিত Oliver Lowry এর ‘Protein measurement with the folin phenol reagent’ নিয়ে এক রিসার্সপেপারের সাইটেশন সংখ্যা 305,000+, যা সর্বোচ্চ বিশ্বে। (2014 মতে)[12]
[LOWRY OH, ROSEBROUGH NJ, FARR AL, RANDALL RJ. Protein measurement with the Folin phenol reagent. J Biol Chem. 1951 Nov;193(1):265-75. PMID: 14907713]
শীর্ষ ১০ সবচেয়ে বেশি সাইট হওয়া পেপারের সাইটেশন সংখ্যা কম করে হলেও প্রতিটার ৪০ হাজার।
টপ ১০০ সাইটেশন পাওয়া পেপারের লিস্টে ঢুকতে কমপক্ষে ১২,১১৯+টি সাইটেশন লাগে।[13], [17]
১৪। বাংলাদেশের সাইটেশন বস:
২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী ২২টি সায়েন্টিফিক ফিল্ডও ১৭৬টি সাব-সায়েন্টিফিক ফিল্ডে লাখের ওপরের সেরা বিজ্ঞানীদের মধ্যে শতকরা দুইভাগ (টু পার্সেন্ট) বিজ্ঞানীদের নিয়ে প্রকাশিত তালিকায় জাবির অধ্যাপক ও পদার্থবিদ ড. এ এ মামুন বিশেষ স্থান লাভ করেন।[19]
তার সাইটেশন সংখ্যা ১৫ হাজার+।
ফ্যাক্টওয়াচের এক প্রতিবেদন থেকে তুলে ধরছি[14]
” জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ ও প্রফেসর এ এ মামুন ফ্লুইড এন্ড প্লাজমা ফিল্ডে ৪৩,২১৮ জন গবেষকের মধ্যে ১৩০ তম অবস্থানে আছেন। সকল ফিল্ডে, সকল বিজ্ঞানীদের মধ্যে তার ওভারঅল র্যাংকিং ২৮,৭৮১তম। তিনি ১৯৯১ থেকে ২০২০ এর মধ্যে মোট ৪১৬ টা পেপার (গবেষণাপত্র) প্রকাশ করেছেন। এসব পেপারকে সাইট (উদ্ধৃত) করা হয়েছে মোট ৮,৮১০ বার (গুগল স্কলার মতে বর্তমানে তা ১৫ হাজার+)।
তবে এসব সাইটেশনের মধ্যে তিনি নিজেই ৪০.৯৭% সাইট করেছেন (সেলফ সাইটেশন)। নিজের সাইটেশনগুলো বাদ দিলে, অন্যরা তার পেপার সাইট করেছে ৪,৭৮৭ বার। সেলফ সাইটেশনকে গন্য করলে তার স্কোর ৪.১০৫ এবং র্যাংকিং ১৪,৩৩৮ তম। তবে সেলফ সাইটেশনগুলো বাদ দিলে তার স্কোর আসে ৩.৮৫ এবং র্যাংকিং ২৮,৭৮১তম।
বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অবদান রাখা ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬৮৩ জনের মাঝে তার অবস্থান ২৮,৭৮১তম।
এই লিস্টে, বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানী হিসেবে র্যাংকিং এ দেখানো হয়েছে চেক প্রজাতন্ত্রের, Michael Grätzel-কে, যিনি ন্যানোটেকনোলজি নিয়ে ১,৫৬৭টা পেপার লিখেছেন, ২ লাখ ৯৯ হাজার বার তার পেপার সাইট করা হয়েছে, এসব সাইটের মধ্যে মাত্র ৭% সেলফ সাইটেশন এবং তিনি ৭৫ হাজার ন্যানোটেকনোলজি গবেষকের মধ্যে ৫.৩১ স্কোর নিয়ে শীর্ষ স্থান দখল করেছেন।
ডক্টর মামুনের সংশ্লিষ্ট ফ্লুইড এন্ড প্লাজমা ডিপার্টমেন্ট-এর র্যাংকিং-এ শীর্ষস্থান দখল করেছেন আমেরিকার নিউম্যান। তার ১৮৮টা পেপার সাইটেড হয়েছে ৯৭ হাজার বার। এর মধ্যে তার সেলফ সাইটেশন মাত্র ১.১৫% । সকল ফিল্ডের সকল গবেষকদের মধ্যে তার ওভারল র্যাংকিং ২৪তম।
ড. মামুনের ‘Introduction to Dusty Plasma Physics’ নামে তার লেখা একটি বই আমেরিকা, ইংল্যান্ড এবং জার্মানির কয়েকটি ইউনিভার্সিটিতে পাঠ্যবই হিসেবে পড়ানো হয়। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লস
বায়োলজি জার্নালে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ডিপার্টমেন্ট অব বায়োমেডিকেল ডাটা সায়েন্সের গবেষক জন আইওয়ান্নিডিস, নিউমেক্সিকো ভিত্তিক সাইটেক স্ট্র্যাটেজিসের বিশেষজ্ঞ কেভিন ডব্লিউ বয়াক ও নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামভিত্তিক এলসেভিয়ারবিভির রিসার্চ ইন্টেলিজেন্সের গবেষক জেরোয়েন বাস বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অবদান রাখা ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬৮৩ জন বিজ্ঞানীর এ বিষয়ভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করেন। প্রত্যেক বিজ্ঞানীকে তাদের নিজস্ব গবেষণাকাজের সংখ্যা (কমপক্ষে ৫টি) ও সাইটেশনের ভিত্তিতে এ তালিকায় স্থান দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে তালিকায় স্থান করে নেয়া ২৬ জনের মধ্যে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এ এ মামুন সহ আরও ২৫ জন।”
উনাকে নিয়ে ফ্যাক্টওয়াচের বিস্তারিত প্রতিবেদন হাইপার লিংক করা আছে। পড়ে নিতে পারেন।
তবে ২০১৭ মালের সর্বশেষ তথ্যমতে উনার সর্বমোট সাইটেশন সংখ্যা প্রায় ১৫,৯৬১টি।[18]
কীভাবে সাইটেশন সংখ্যার তুলনা করা উচিত?
জার্নালের বা গবেষকদের পেপারের টোটাল সাইটেশন সংখ্যার তুলনা করতে গেলে একই প্রকার ফিল্ড লাগে তুলনার দাঁড়িপাল্লায়। আপনি কি মানবিকের রোল ১ ছাত্রের সাথে সাইন্সের রোল ১ এর তুলনা করবেন যে কে বেশি ভালো ছাত্র?
তুলনাটা কি সঠিক ও যৌক্তিক হবে?
একারণে দেখা যায় কোনো পেপার ৫টি সাইটেশন পেয়েও মানসম্মত পেপারের স্বীকৃতি পেতে পারে আবার আরেকটা ভিন্ন ফিল্ডের পেপার ২০টা সাইটেশন পেয়েও অতটা মানসম্মত পেপারের স্বীকৃতি নাও পেতে পারে।
যে জার্নাল ফিজিক্স নিয়ে কাজ করে সেই জার্নালের সাইটেশন সংখ্যার সাথে তুলনা করে আরেকটা বায়োলজি-বেইজড জার্নালের তুলনা করে সাইটেশন সংখ্যার ভিত্তিতে কোনটা বেস্ট জার্নাল বা পেপার তা তুলনা করা যৌক্তিক না। তাছাড়া কোনো জার্নালে তুলনামুলক বেশি সংখ্যক রিসার্চপেপার পাবলিশ করা হলে সেই জার্নালের মোট সাইটেশন সংখ্যা তো এমনেই বেশি হবে।
যা-হোক, এসব নিয়ে পরের পর্বে আলোচনা করা হবে।
আরেকটা তথ্য, ২০২১ মতে, ৭০টি দেশ থেকে ৩,৭৭৪টি স্পেসিফিক ফিল্ডে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সাইটেশন পাওয়া রিসার্চারদের মাঝে ২,৬২২জনই অ্যামেরিকার যা ৩৯.৭% সারাবিশ্বের সাথে তুলনা করলে।
আর একা হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়তেই ২১৪ জন এমন সর্বোচ্চ সাইটেশন পাওয়া রিসার্চারদের আবাস।[15]
বাংলাদেশও এই ৭০টি দেশের মাঝে আছে।
১৫। বেশি সাইটেশন মানেই কি বেশি ভালো গবেষক বা গবেষণাপত্র?
সাইটেশন কম মানেই নিম্ন মানের লেখা বা গবেষণা সেটা আবার নয়। সাইটেশন সংখ্যা আপনার লেখার ভ্যালু বাড়ায় কিন্তু এটা কারো লেখার মান যাচাইয়ের কোনো ১০০% বিশুদ্ধ উপায় নয়। কারণ বিভিন্ন কারণে অনেক ভালো গবেষণাপত্রও কম সাইটেড হতে পারে।
যেমন:
সাইটেশন নাম্বার বাড়ানোর জন্য অনেক প্রকার অসৎ পথ, প্রভাবক, দুর্নীতি, ফাঁক-ফোকর, কারচুপি, বাণিজ্য, লবিং, নেটওয়ার্ক ইত্যাদি করা যায়।
সেলফ সাইটেশন, সার্কুলার সাইটেশন, টাকা দিয়ে সাইটেশন – এগুলো প্রায়শই করা হয় এবং তা নামীদামি পিয়ার-রিভিউড সাইটেও হয়।
আবার ভালো পেপার হলেও সাইটেশন কম এমন প্রচুর পেপার আছে। ২য় পর্বে এসব আলোচনা বিস্তারিতভাবে করা হবে।
তবে সাধারণ ক্ষেত্রে ও সাধারণ হিসেবে সাইটেশন সংখ্যা দিয়েই আমরা বিচার করে থাকি লেখাটা বা জার্নালটা কতটা প্রভাব বিস্তারকারী বা কতটা নির্ভরযোগ্য কিংবা কতটা ভ্যালু আছে লেখাটার সেটা।
সাইটেশন বেশি মানেই কি ভালো পেপার, কম মানেই কি খারাপ পেপার?
সাইটেশন সংখ্যা কারো কোনো পেপারের মান নির্ণয়ে কতটা কার্যকরী ও বাস্তবিক পথ, এই সিস্টেমের ফাঁক-ফোকর কী কী, কী কী দুর্নীতি হতে পারে বা হয়, গবেষণা পেপারের মান কিসের কিসের ওপর নির্ভরশীল সেসব নিয়ে সামনের ‘Impact Factor’ পর্বে আলোচনা আসবে ইনশাআল্লাহ!
[তথ্যসূত্র কমেন্টে।]
———————————————
N.B.
আমার এই ধারাবাহিক আর্টিকেল সিরিজটার মূল উদ্দেশ্য থাকবে বিজ্ঞানের গবেষণাপত্র সম্পর্কিত অসংখ্য টার্মগুলোর মাঝে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টার্ম সবার জন্য সহজবোধ্য ভাষায় বোধগম্য করে তোলা।
কারণ দেখা যায়, আমরা বিভিন্ন অপবিজ্ঞানের গ্রুপ বা বিভিন্ন নিউজ বা ব্লগসাইট থেকে প্রায়শই নানা গুজবে মেতে উঠি অথচ আসল খবরের ধারেকাছে যাই না। কারণ আমরা ভাবি যে আমরা কি রিসার্চার যে রিসার্চ পেপার পড়ে বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে পারব?
মানে প্রথমেই আমরা নিজেদেরকে অনেক দুর্বল ভেবে নিই যে কোনোভাবেই এই কাজটা আমাদের দ্বারা সম্ভব না।
যদিও জার্নালগুলো থেকে রিসার্চ পেপারগুলো পড়া অতটাও সরল বিষয় না, কঠিন ভাষায় উপস্থাপিত থাকে তবে চাইলেই আমরা রিসার্চ ও রিসার্চপেপারে ব্যবহৃত টার্মগুলো নিয়ে মোটামুটি ধারণা রাখতে পারি৷ আর সে ধারণা কিছুটা হলেও রিসার্চপেপারগুলো বুঝতে বা আপাতত গুজব থেকে মুক্ত রাখতে যথেষ্ট সহায়তা করবে।
এই টার্মগুলো নিয়ে ধারণা থাকলে এবং ইংরেজি ভাষায় মোটামুটি দক্ষতা থাকলেই আপাতত রিসার্চপেপারগুলোতে উপস্থাপিত তথ্যগুলোর তাৎপর্য, মান, গভীরতা এসব ধরতে পারবেন ও প্রকৃত সত্য প্রাপ্তির পথে একটু হলেও আপডেট থাকতে পারবেন। তাছাড়া কোন জার্নাল কতটা বিশ্বস্ত, কোন রিসার্চপেপার কতটা মানসম্মত বা উন্নত বা দুর্বল তা কিছুটা হলেও ধরতে পারবেন এবং গুজবের পেছনে না ছুটে প্রকৃত সত্য খুঁজে পেতে সহায়তা হবে।
আর বিজ্ঞান আর্টিকেলও লেখাটা আরও মানসম্মত হবে। কীভাবে হবে আশা করি তা বোঝাতে হবে না। কারণ কোনো নিউজ সাইট থেকে তথ্য নিয়ে আর্টিকেল লেখা মানসম্মত না কি সরাসরি পিয়ার রিভিউড আর্টিকেল থেকে তথ্য নিয়ে আর্টিকেল লেখা অধিকতর মানসম্মত তা আশা করি সবাই জানেন।
—–
পরবর্তীতে যা যা আসতে পারে →
scientometric index,
সাইটেশন বাকি অংশ, সেলফ সাইটেশন, চক্রাকারে সাইটেশন, টাকা দিয়ে সাইটেশন,
ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর, আসল জার্নাল, প্রিডেটরি/ভুয়া জার্নাল, skewed frequency distribution,
রিসার্চপেপার লিখন, Bibliography, i10 index, H-index, পিয়ার রিভিউ, প্লেইজারিজম, স্কোপাস ইনডেক্স, প্রিপ্রিন্ট সার্ভার, Post-Print, Self-Archiving, Sherpa/Juliet, Sherpa/RoMEO, রিসার্চপেপার খোঁজার পদ্ধতি,
রিসার্চ পেপার, রিভিউ পেপার, রিসার্চ পেপার পড়া ও বিভিন্ন অংশ পরিচয়,
Clarivate Analytics, Web of Science Core Collection, Quartile, Google Scholar, ResearchGate, Nature, MedLine, ORCID ID, PubMed, Embase, মেটা-এনালাইসিস, সিস্টেমিক রিভিউ, ন্যারেটিভ রিভিউ, কেস রিপোর্ট, কেস সিরিজ, ISI (International Scientific Indexing), SCI(Science Citation Index), SCIE( Science Citation Index Expanded), ELSEVIER, SPRINGER,
JCR, ESCI, DBLP, INSPEC (IET), DOAJ, EBSCOhost, scimagojr,
– ISBN, ISSN/E-ISSN no.
– Citescore,
– Digital Database (ACM digital library, SpringerLink, Sciencedirect, IEEE Explore, IET, etc.)
– University Journal (Cambridge, Oxford, MIT, Harvard, etc.)
– Journal Quality (i.e. Q1/Q2/Q3/Q4, etc.)
– DOI Address ( Digital object identifier)
ইত্যাদি।